বাংলাদেশ থেকে ভেরিফাইড স্ট্রাইপ একাউন্ট কারা এখন সহজ, যদি আপনি ইন্টানেশনার বিজনেস ওয়েবসইট করতে চান। যেহেতু বাংলাদেশ স্ট্রাইপ সাপোর্ট করে না, তাই আপনাকে প্রথমে এমন দেশে কোম্পানি একাউন্ট খুলতে যে দেশ স্ট্রাইপ বিজনেস একাউন্ট পাপোর্ট করে। অনেকে ইউ এস এর .LLC একাউন্ট অপেন করে থাকেন। তবে টেক্স এবং বাতসরিক খরচ বেশি হওয়ায় ইউকে এর .LTD তুলনা মূলক কম খরচ হওয়ায় এটাই সহজ পদ্ধতি।
বাংলাদেশে থেকে স্ট্রাইপ একাউন্ট পেতে হলে যা যা থাকতে হবে
এই পেস্টে যে বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত পাবেন, এবং এগুলো প্রয়োজন হবে ভেরিফাইড স্ট্রাইপ একাউন্ট পেতে। ১) UK তে .LTD বিজনেস রেজিস্ট্রেশন ২) একটা ফোন ইউকে ফোন নাম্বার, ওটিপি এবং একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য জরুরী ৩) ইউকে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন এবং ট্রেডিং এড্রেস ৪) ডলার / পাউন্ড বিজনেস ব্যাংক একাউন্ট ৫) পাসপোর্ট
স্টেপ ১: ইউকে .LTD রেজিষ্ট্রেশন করে নিন
গুগল করলে অনেক সার্ভিস পাবেন, তবে আমি সাজেস্ট করি কোয়ালিটি কোম্পানি ফর্মেশন কে। তারা আপনাকে ডিরেক্টর এড্রেস এবং বিজনেস এড্রেস দিবে, ডিজিটাল ডকুমেন্টস পাবেন লগিন করলে। তাদের ফুল পেকেজ ৪৪ পাউন্ড + ভ্যাট।
এছাড়া আপনি আইকন অফিস নিতে পারেন যাদি আপনি মেইল বাংলাদেশে ফরোয়ার্ড করতে চান, তবে আইকন অফিস অনেক এক্সপেনসিভ। এছাড়া আপনি বা আপনার লোক সরাসরি অফিসে গিয়েও মেইল কালেক্ট করতে পারবে। যদিও মেইল পরোয়ার্ড তেমন দরকার হয় না। কোরন ওয়াইজ ডিজিটাল কার্ড দিয়ে সব কাজ করা যায়। তাছাড়া ওয়াইজ কার্ড বাংলাদেশে ডেলিভারি করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।
স্মরণ রাখবেন আপনি যে ঠিকানা পাবেন সেটাই কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশনে এবং সকল যায়গায় ব্যবাহার করবেন। বিজনেস এবং এড্রেস পুরোপুরি না মিললে অফিস আপনার মেইল রিসিভ করবে না।
যে সকল এড্রেস সার্ভিস আপনার দরকার হবে: ১) রিজিস্ট্রেশন অফিস সার্ভিস: যেটা ইউকে LTD রেজিস্টিশনে ব্যবহার হবে। ২. সার্ভিস এড্রেস: ডিরেক্টেরদের ঠিকানা, স্ট্রাইপ, পেপ্যাল এবং কোম্পারি রেজিস্টেশনের সময় ডিরেক্টর এর ঠিকানা প্রয়োজন হয়। ৩) বিজনেস এড্রেস সার্ভিস: যেঠিকানা অনেকটা করপোরেট এড্রেসের মত। বিজনেস কার্ড, লেটারহেড বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো দেখে নিবেন যখন কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন হাউজ থেকে সার্ভিস কিনবেন।
স্টেপ ২: ইউকে ভার্চুয়াল নাম্বার কিনুন
ওয়াজই/পেপ্যাল বা অন্য কোন একাউন্ট খুলতে আপনাকে অবশ্যই ইউকে নাম্বার লাগবে OTP রিসিভ করার জন্য। আইকন অফিস থেকেও নাম্বার কিনতে পারেন তবে সেটা এক্সপেন্সিভ। আমি সাজেস্ট করি আপনি VYKE এ্যাপ থেকে কিনুন, অনেক কম প্রাইস। ওটিপি এ্যাপ এ রিসিভ হবে। আমি নিজেও এই এ্যাপ ব্যবহার করি। তবে এই এ্যাপে কল আসলে রিস্যিভ করলে কিছুটা স্লো মনে হয়েছে। এছাড়া ভালো কোন অল্টারনেটিভ আমার জানা নেই। আপনি ইনবক্সে সাজেস্ট করতে পারেন।
স্টেপ ৩: ইউকে কোম্পানি একাউন্ট অপেন করে নিন
একাউন্ট অপেন করার জন্য এই লিংকে গিয়ে প্রসেস শুরু করতে পারেন। তবে আপনি আপনি চাইলে আইকন অফিস কিংবা কোয়ালিটি কোম্পানি ফরমেশন আপনার জন্য কাজটা করে দিবে। আপনি এই ভিডিও ফলো করতে পারেন। ভাষা উর্দু হলেও ভিডিওটির সর্ট এবং স্টেপ গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।
স্টেপ ৪: ওয়াইজ বিজনেস একাউন অপেন করুন
আপনার কোম্পানিটি ইউকে কোম্পানি হাউজে সাকসেসফুল্লি রেজিস্টার হওয়ার পর এই লিংক থেকে একাউন্ট অপেন করে নিন।
একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। এছাড়া অন্য সকল ইনফো ওয়াইজ সরাসরি ইউকে কোম্পানি হাউজ থকে কালেক্ট করবে। আপনাকে কোন ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে না। একাউন্ট কারান পর এক কালীন ১৬ পাউন্ড ফি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে ওয়াইজ পাসোনাল টু বিজনেস ট্রান্সফার, পেওনিয়ার কিংবা কোন বাংলাদেশি কোন কার্ড এলাউড না। আমাদের লিংক থেকে একাউন্ট খুললে আমারা এই বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকি। আমাদের লিংক ব্যবহার না করলেও সাপোর্ট পাবেন সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্ভিস চার্জ ১৫০০ টকা।
স্টেপ ৫: স্ট্রাইপ একাউন্ট করে নিন
এখন আপনি স্ট্রাইপে একাউন্ট করতে পারেন। একাউন্ট করার জন্য সকল তথ্য আপনার কাছে রয়েছে। সকল ঠিকানা ইউকেতে যে ট্রেডিং এড্রেস পাবেন সেটা দিবেন। আপনার বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিবেন ফটো আই ডি হিসাবেন।
স্ট্রাইপ একাউন্ট করার পর টেক্স ফর্ম ফিলাপ করার পর অটমেটিক একাউন্ট এ্যাকটিভ হয়ে যাবে। তারা কোন প্রকার ভেরিফিকেশন করবে না। তবে প্রথম দিকে ছোট ছোট লেনদেন করবেন। পেমেন্ট ডাইরেক্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবে। আমি ৩ মাস যাবত স্ট্রাইপ একাউন্ট ব্যবহার করতেছি, আলাদা কোন প্রকার ভেরিফিকেশন একনো চায় নি। মাসের প্রথম দিন ওয়াইজে ফান্ড লোড হয়ে যাচ্ছে। তবে এটা উইকলিও নেওয়া যায়। আমি নিজেই মান্থলি সিলেক্ট করেছি।
কোন মতামত বা সাজেশনস থাকলে নিচে কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ পোস্টির জন্য।
Wise এর বিস্তারিত ব্যবহার নিয়ে কোন পোস্ট আছে? অর্থাৎ কী কী কাজে ব্যবহার হতে পারে।
Paypal একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে কোন পোস্ট আছে?