বাংলাদেশ থকে ওয়াইজের বিজনেস একাউন্ট খোলা যায় না, কিন্তু আমারা আপনাকে সহজ একটা পথ দেখাতে পারি যারা মাধ্যমে আপনি ওয়াইজের বিজনেস একাউন্ট এবং ডেবিট এবং ভারশুয়াল কার্ড পাবেন। যে কার্ড ফেসবুক সহ ইন্টারনেশনাল যে কোন গেটওয়েতে ব্যবহার করতে পারবেন। ওয়াইজ বিজনেস একাউন্ট আপনার জন্য সম্ভাবনার এক নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারবেন। ব্যবসা বড় করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেশনার শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্টমেন্ট সহজ হয়ে যাবে। বাংলাদেশে থেকে বসে এমজন কিংবা এপলের শেয়ার হোল্ডার হতে পারবেন।
যেহেতু বাংলাদেশ থেকে একাউন্ট খোলা যায় না তাই আপনাকে অন্য দেশে বিজনেজ রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে এবং বিজনেস এবং ডিরেক্টর এড্রেস থাকতে হবে। এটার জন্য বেস্ট হচ্ছে ইউকে এর .LTD খোলা। লেনদেন ৮০ হাজার পাউন্ড এর বেশি না হলে ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশনের ঝামেলা নেই। এছাড়া আপনি বিজনেস পেপ্যাল এবং স্ট্রাইপ একাউন্ট পেয়েযাবেন সহজেই।
স্টেপ ১: ইউকে .LTD এর জন্য ডিরেক্টর এবং ট্রেডিং ঠিকানা কিনে নিন
গুগল করলে অনেক সার্ভিস পাবেন, তবে আমি সাজেস্ট করি কোয়ালিটি কোম্পানি ফর্মেশন কে। তারা আপনাকে ডিরেক্টর এড্রেস এবং বিজনেস এড্রেস দিবে, ডিজিটাল ডকুমেন্টস পাবেন লগিন করলে। তাদের ফুল পেকেজ ৪৪ পাউন্ড + ভ্যাট। এই ফি আপনি পেওনিয়ার কার্ড কিংবা বাংলাদেশি যে কোন ডলার এনড্রোসমেন্ট করা) কার্ড ব্যবহার করে পে করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি আইকন অফিস নিতে পারেন যাদি আপনি মেইল বাংলাদেশে ফরোয়ার্ড করতে চান, তবে আইকন অফিস অনেক এক্সপেনসিভ। এছাড়া আপনি বা আপনার লোক সরাসরি অফিসে গিয়েও মেইল কালেক্ট করতে পারবে। যদিও মেইল পরোয়ার্ড তেমন দরকার হয় না। কোরন ওয়াইজ ডিজিটাল কার্ড দিয়ে সব কাজ করা যায়। তাছাড়া ওয়াইজ কার্ড বাংলাদেশে ডেলিভারি করে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।
স্মরণ রাখবেন আপনি যে ঠিকানা পাবেন সেটাই কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশনে এবং সকল যায়গায় ব্যবাহার করবেন। বিজনেস এবং এড্রেস পুরোপুরি না মিললে অফিস আপনার মেইল রিসিভ করবে না।
যে সকল এড্রেস সার্ভিস আপনার দরকার হবে: ১) রিজিস্ট্রেশন অফিস সার্ভিস: যেটা ইউকে LTD রেজিস্টিশনে ব্যবহার হবে। ২. সার্ভিস এড্রেস: ডিরেক্টেরদের ঠিকানা, স্ট্রাইপ, পেপ্যাল এবং কোম্পারি রেজিস্টেশনের সময় ডিরেক্টর এর ঠিকানা প্রয়োজন হয়। ৩) বিজনেস এড্রেস সার্ভিস: যেঠিকানা অনেকটা করপোরেট এড্রেসের মত। বিজনেস কার্ড, লেটারহেড বা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করতে পারবেন। এগুলো দেখে নিবেন যখন কোম্পানি রেজিষ্ট্রেশন হাউজ থেকে সার্ভিস কিনবেন।
স্টেপ ২: ইউকে ভার্চুয়াল ফোন নাম্বার কিনুন
ওয়াজই/পেপ্যাল বা অন্য কোন একাউন্ট খুলতে আপনাকে অবশ্যই ইউকে নাম্বার লাগবে OTP রিসিভ করার জন্য। আইকন অফিস থেকেও নাম্বার কিনতে পারেন তবে সেটা এক্সপেন্সিভ। আমি সাজেস্ট করি আপনি VYKE এ্যাপ থেকে কিনুন, অনেক কম প্রাইস। ওটিপি এ্যাপ এ রিসিভ হবে। আমি নিজেও এই এ্যাপ ব্যবহার করি। তবে এই এ্যাপে কল আসলে রিস্যিভ করলে কিছুটা স্লো মনে হয়েছে। এছাড়া ভালো কোন অল্টারনেটিভ আমার জানা নেই। আপনি ইনবক্সে সাজেস্ট করতে পারেন।
স্টেপ ৩: ইউকে কোম্পানি (.LTD) রেজিষ্টেশন করে নিন
একাউন্ট অপেন করার জন্য এই লিংকে গিয়ে প্রসেস শুরু করতে পারেন। তবে আপনি আপনি চাইলে আইকন অফিস কিংবা কোয়ালিটি কোম্পানি ফরমেশন আপনার জন্য কাজটা করে দিবে। আপনি এই ভিডিও ফলো করতে পারেন। ভাষা উর্দু হলেও ভিডিওটির সর্ট এবং স্টেপ গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।
স্টেপ ৪: ওয়াইজ বিজনেস একাউন অপেন করুন
আপনার কোম্পানিটি ইউকে কোম্পানি হাউজে সাকসেসফুল্লি রেজিস্টার হওয়ার পর এই লিংক থেকে একাউন্ট অপেন করে নিন।
একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। এছাড়া অন্য সকল ইনফো ওয়াইজ সরাসরি ইউকে কোম্পানি হাউজ থকে কালেক্ট করবে। আপনাকে কোন ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে না। একাউন্ট কারান পর এক কালীন ১৬ পাউন্ড ফি দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে ওয়াইজ পাসোনাল টু বিজনেস ট্রান্সফার, পেওনিয়ার কিংবা কোন বাংলাদেশি কোন কার্ড এলাউড না। আমাদের লিংক থেকে একাউন্ট খুললে আমারা এই বিষয়ে সহায়তা দিয়ে থাকি। আমাদের লিংক ব্যবহার না করলেও সাপোর্ট পাবেন সে ক্ষেত্রে আমাদের সার্ভিস চার্জ ১৫০০ টকা।
আপনার যদি বাংলাদেশি পারসোনাল ওয়াইজ একাউন্ট থাকে সেটার সাথে বিজনেস একাউন্ট খুলতে পারবেন। তবে অন্য ইমেইল দিয়ে বিজনেস একাউন্ট আলাদা খুলতে পারবেন অবশ্যই UK এর ফোন নাম্বার ব্যবহার করে। সেটাই বেটার, তবে খেয়াল রাখবেন যেন কোন ভাবেই ২ টা পারসোনাল একাউন্ট না হয়। তাহলে ২ টাই ব্যান হবে।
ওয়াইজ বিজনেস একাউন্টের টাকা বাংলাদেশ থেকে কিভাবে উইথড্র করবেন?
ওয়াজ বিজনেস একাউন্টের টাকা বাংলাদেশে সরা সরি উইথড্র করা যায় না। তবে আপনি আপনার এবং পরিবারের অন্যদের পারসোনাল ওয়াইজ একাউন্টে ট্রান্সফার করতে পারবেন। আপনি অন্য যে কোন ইউএস ব্যাংক একাউন্টে ACH ট্রান্সফার করতে পারবেন, যেমন পেওনিয়ার।
ওয়াইজ কার্ড বাংলাদেশ থেকে পাওয়ার নিয়ম
ওয়াইজ বাংলাদেশে কার্ড ডেলিভারি করে, একাউন্ট যে দেশেরই হোক। আপনি শিপিং এড্রেসে এর সাথে ফোন নাম্বার না চাইলে হাউজ নাম্বারের আগে ফোন নাম্বার যুক্ত করে দিবেন। তাহলে পোস্ট অফিস থেকে প্রয়োজনে কল দিতে পারবে। ১২-১৫ দিনে চলে আসে। আমার এলাকায় ( ডেমরা / স্টাফ কোয়াটার) হোম ডেলিভারি করে না। তাই পোস্ট অফিস গিয়ে আনতে হয়েছে। তারা কলও দেয় নাই, জাস্ট ২০ দিন পর গিয়ে বলার সাথে দিয়ে দিছে। আমার আগের ঠিকানা (গুলশান) পোস্ট ম্যান সকল পার্সেল বা লেটার হোম ডেলিভারি করতো।
ওয়াইজ বিজনেস একাউন্টের অন্যান্য সুবিধা সমূহ
ওয়াইজ একাউন্ট এ্যপরুভ হওয়ার পর আপনি নিজের এবং টিমের জন্য আনলিমিটেড ডিজিটাল কিংবা ফিজিকাল কার্ড ইস্যু করতে পারবেন। পেপ্যাল একাউন্ট অপেন কররতে পারবেন।
কোন মতামত বা সাজেশনস থাকলে নিচে কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ
ওয়াইজ বিজনেস একাউন্টে বা UK Ltd. রেজিষ্ট্রেশনের অসুবিধা সমূহ (সতর্ক হোন)
আপনার যদি সিরিয়াস বিজনেসের প্লেন থাকে তাহলেই ইউকে LTD রেজিষ্টার করে বিজনেস একাউন্ট করবেন। আপনি এক ধরনের বিজনেসের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে অন্য ধরনের বিজনেস করলে আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন। এছাড়াও টেক্স বা ভেট বিষয়ক জটিলতে তো থাকছেই।
এর পর যে ধরণের বিজনেস করেন সেটার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের ফি দিতে হতে পারে ইউকে গভারনমেন্টকে। যেমন আমি ইউজার তথ্যের প্রাইভেসির জন্য icn ফি দিয়েছি কিছু দিন আগে। পোস্টাল মেইলে আসা সকল মেইল ফলোআপ করতে হবে। সরকারি সকল নোটিস পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসবে যে এড্রেস আপনি টাকা দিয়ে কিনবেন। সিরিয়াস কেসে আপনার ইউকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেভেল ব্যান ও হতে পারে এক্সটিম কেসে।
সিম্পল ফ্রিল্যান্সিং পেমেন্টের জন্য ওয়াইজ পারসোনাল কিংবা পেওনিয়ারের গ্লোবাল পেমেন্ট সিস্টেম ই যথেষ্ট। ইউকে কোম্পানি খোলার সাথে সাথে আপনাকে ট্যাক্স রিটার্নের কথা ভাবতে হবে, কোম্পানি রিনিউয়াল, GDPR এর কমপ্লায়েন্স করা ইত্যাদি। সুতরাং শখের বসে বিজনেস একাউন্ট না খোলই ভালো।
Assalamualaiku. Ami UK LTD company account korar jonno knock disi. Amake ki ei kaje help kora jai. ami apnader 1500 takao dibo.
ফেসবুক ইনবক্সে নক দেন: https://www.facebook.com/wisebdcommunity